Tuesday, June 28, 2016

বিষয়ঃ আলোচনা

প্রিয় পাঠক/ব্লগার,

ফেসবুকঃ ২২.৫.১৬

 

কূটকচালী ইন ফেসবুক

 

জয়দীপ ঘোষ – আসলে যেটা ছিল একদিন পায়োনিয়ার ফোর্স সেটা কেমন যেন ক্ষয়ে গেল, নির্ধারণের ক্ষমতা হারালো ক্রমাগত অপ্রাসঙ্গিক করে দেয়া হচ্ছে বোথ ইকোনমিক্যালি এন্ড সোস্যালি। এটা সম্পুর্ণ আমার পার্সোনাল অভিমত।

গসু-২ (2)
হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি…!!!


বাংলা ব্লগারু – আমি একমত। কিন্তু কোনও অভিমতই তো আর “পার্সোনাল” থাকে না, বিশেষতঃ যখন  সেটা বড়সড় কোনো সংঘাতের মুখে পড়ে। এই এলিট বনাম নিম্নবর্গের সংঘাত আজ পরিস্কার ফুটে উঠছে যাকে একদা বামপন্থীরা ক্লাস স্ট্রাগল বলে চালিয়ে দিয়েছিলেন। তোমার দেওয়া ছবিটা একসময়ের স্ট্যাটাস সিম্বল ছিল শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক শ্রেণীর বাড়িতে। আজ তার রূপ যাই হোক না কেন সেটা ঐ অতিত গৌরবের টিম টিম করা চিহ্ন – একমাত্র কিউরিও ভ্যালু ছাড়া যার আর কিছু নেই! এখন কথা হচ্ছে যে শিক্ষিত, প্রগতিশীল, “পায়োনিয়ার”, “নির্ধারক” বাবু বাঙালী ভদ্রলোক শ্রেণী কেন “অপ্রাসঙ্গিক” হয়ে উঠল আজ? এমন তো হবার কথা ছিল না।

“দেশের প্রতিটি মানুষের সাথে যে গভীর সংযোগ-সংলাপ থাকা দরকার সে কথা তো নতুন কোনও কথা নয়– আধুনিকতার প্রবক্তা, আমাদের বরণীয় মনীষীরা তা বারে বারে বলেও গিয়েছিলেন আর তার জন্যই তো তাঁরা শিক্ষার উপর এতো জোর দিয়েছিলেন; নিজেরাও সচেষ্ট ছিলেন কি ভাবে শিক্ষার আবহ গড়ে তোলা যায়, প্রসারণ ঘটানো যায় সমাজের সর্বস্তরে, হোক না সে পরাধীন দেশ, তবুও! এটা ভাবতে খুবই অবাক লাগে যে ঐ রকম একটা সময়ে কি ভাবে বিজ্ঞান চর্চা, গবেষণা, শিক্ষাদীক্ষায় প্রাবল্য এসেছিল তা আজও এই স্বাধীন দেশে বসে আমরা ভাবতে পারি না! অথচ আজ তা বুদবুদের মতো মিলিয়ে গেছে কোথায় যেন! আমরা হারিয়েছি সেই গৌরবোজ্জ্বল দিনগুলো! তখন স্কুলকলেজ স্থাপন করা হত সমাজের সার্বিক মঙ্গলের জন্য আর এখন হয় ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে। আর সেখানে ভিড় করতে পারেন সমাজের অর্থবান মানুষরা। যাঁদের সেই আর্থিক ক্ষমতা নেই, অগুনতি হতদরিদ্র নিম্নবর্গীয় মানুষ, তাঁরা ব্রাত্য সেখানে। সরকারী অনুদানে চলা স্কুলকলেজ আর কটা যে বিপুল সংখ্যক মানুষের চাহিদা মেটান যায়? পড়াশোনার মানও যে সব জায়গায় সমান তা নয়। অভাব অভিযোগ বিস্তর। গোদের উপর বিষফোঁড়া সস্তা দলীয় রাজনীতির মাতব্বরি, সূক্ষ্ম রেসিসিজম বা ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক মনোভাব সব মিলিয়ে শিক্ষার সার্বজনীন প্রয়োগ দূরঅস্ত! এভাবেই শিক্ষার আলোক-স্পর্শ অধরা থেকে যায় রামা কৈবর্ত, হাশেম শেখ, রামু বড়ালদের জীবনে।”

শুধু তাই নয়, সংক্ষেপে বলতে গেলে–

“এর উপর সমাজের সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী তথাকথিত আলোকপ্রাপ্ত শ্রেণীর মানুষদের বিরাট এক অংশের ব্যাপক, মাত্রাহীন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়া!–যাঁদের কোনও চেদবেদ নেই, তাঁরা কি করছেন কেন করছেন সেটা নিয়েও নেই কোনও অনুশোচনা। বরঞ্চ পরোক্ষভাবে এর প্রতি ভেতরে ভেতরে একটা প্রচ্ছন্ন সমর্থন আছে তাঁদের! সবটাই ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠিগত স্বার্থ, ভাবনার ফসল।”

জমিদারী ব্যবস্থা থেকে উদ্ভূত বাবু শ্রেণী বেলজিয়াম কাচের উপর গাড়ী চালিয়ে, বেড়ালের বিয়ে দিয়ে আজ মাল্টিপ্লেক্স ন্যানো স্ট্যাটাস চর্চায় এসে ঠেকেছে! পাশাপাশি সমান্তরাল ভাবে যে  উজ্জ্বলতার চ্ছটা দেখা গেছে ক্রমাগত ক্ষয়ের মধ্য দিয়ে তা সত্তর দশকে এসে নিভু নিভু হিয়ে গেল। যেটুকু পড়ে রইল সেই “উদ্যোগী” “নির্ধারক” বাবু বাঙালী ভদ্রলোক শ্রেণী  কোনঠাসা হয়ে পড়ল নবকলেবরে সুবিধাভোগী মধ্যবিত্ত কেন্দ্রিক “সুখী বামপন্থার” আবির্ভাবে – শুরু হল মধ্য মেধার চাষ! ফলতঃ যাঁদের হাল ধরার কথা ছিল তাঁরা জীবন জীবিকার তাড়নায় ছিটকে গেলেন। প্রকৃত মেধাসম্পন্ন মানুষরা সমাজকে নেতৃত্ব দেবার বদলে ধীরে ধীরে নিজের নিজের বলয়ে সীমাবদ্ধ হলেন এবং সমাজের বৃহত্তর অংশের থেকে বিচ্ছিন্ন হলেন, শুধু বিচ্ছিন্নই হলেন না তাঁদের পরবর্তী প্রজন্ম গুলোও ক্রমাগত শিকড়হীন হতে শুরু করলো। তৈরী হল ইউরোকেন্দ্রিক ভাবনায় চুবে থাকা নয়া এলিটিজম! সেটা আগেও ছিলো কিন্তু তবুও তাঁরা তাঁদের কাচের স্বর্গ থেকে মাঝে মাঝে  নেমে আসতেন “বাবু” বলা “ছোটলোকদের” মাঝে, বুঝতে চাইতেন তাঁদের “জীবনের মানে”, রাজনীতি  থেকে শিল্প সাহিত্যে যার নজির আছে। এমনিতেই ইংরাজী জানা ভদ্রলোক শ্রেণী বলে একটা অহমিকা ছিলোই (বামপন্থীরাও যার ধারক বাহক) আর ছিল গরীব গুর্বোদের প্রতি একটা প্রবল অধিকারবোধ। অর্থাৎ তাঁরাই ঠিক করে দেবেন “গ্রাম বাংলার মানুষ কেমনভাবে জীবন যাপন করবেন”, কি রকম হবে তাঁদের উন্নয়নের নকশাটা! অথচ বছরের পর বছর “লুন্ঠিত গ্রাম বাংলা”-র রসদে “দেহের সমস্ত রক্ত মুখে জমা” হচ্ছে দেখেও নিরব নির্লিপ্ত থেকেছেন!! বিভেদ বিচ্ছিন্নতা থেকে আজ যখন নিম্নবর্গীয়দের উত্থান প্রবলভাবে আছড়ে পড়ছে, ভোট বাক্সের হিসেব নিকেশ লন্ড ভন্ড হয়ে যাচ্ছে তখন নিজেদের অস্তিত্বের তাড়নায় ব্যঙ্গ বিদ্রুপে ভরিয়ে দিচ্ছেন সোশ্যাল নেট ওয়ার্কিং সাইট থেকে, টিভি পর্দায়, আলোচনায়, খবরের কাগজে মিডিয়া ব্যারনদের প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ অনুপ্রেরণায়! বলা হচ্ছে “জনমোহিনী”, “অনুদান”, “ডোল” অর্থনীতি। ট্যাক্সের পয়সার শ্রাদ্ধ করে মেয়েদের সাইকেল দেওয়া হচ্ছে, দু’টাকা কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে, নগ্ন পদ শিশুকে জুতো দেওয়া হচ্ছে। তখন তো “অপ্রাসঙ্গিক” হবার প্রসঙ্গে বলতেই হয়-

“না!!..এদেশের খেতে না পাওয়া মানুষরা আর কবেই বা পেট পুরে খেতে পেল, এখন যদি পায় তাতে ক্ষতি কি? সাড়ে চার হাজার? ক্ষতি তো! তা অমন সাড়ে চার হাজার তো ৪৭-এর পর থেকে কতবার উধাও হল ঘুষ/কাটমানি/শিল্পপতিদের ব্যাঙ্কের লোন শোধ না করা / কাজে ফাঁকি দেওয়া সরকারী কর্মীদের ডিএ ভাতা ইত্যাদি / ..এই তো সেদিন ৩৮ কোটি টাকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বউ- এর আঁকা ৮ খানা ছবি কিনল এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া / মহাকাশ যাত্রায় কত শো কোটি, নাঃ! কোটির নিচে কোনও কথা নেই!” -–বা– “হ্যাঁ আবারও বলব! ভন্ডামী আর চাতুরীর খোলোশ ছেড়ে বলব অসংস্কৃত হাউয়াই চটির জীবন দর্শন ও তার ক্ষমতা সার্থক হোক! গোটা লাইব্রেরী গিলে খাওয়া তত্ত্ববাগীশ উর্দ্ধপাদ দন্ড এলিট বুদ্ধিজীবীদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে বলব ঐ মেয়েগুলো আমারও মেয়ে, ঐ মেয়েগুলো সাইকেল পেলে ওদের লেখাপড়াটা হবে, ঐ মেয়েগুলো বইখাতা পেলে ওদের লেখাপড়াটা হবে, ঐ মেয়েগুলো টাকা পেলে ওদের লেখাপড়াটা হবে, ঐ মেয়েগুলোর  লেখাপড়া হলে ওদের সন্তানদেরও লেখাপড়াটা হবে, ওদের সন্তানদের লেখাপড়াটা হলে ওদের সন্তানরা জীবনের মানে খুঁজে পাবে, পথ খুঁজে পাবে! আর সেটা হলে আত্মশক্তি বা স্ব-নির্ভরতাও সবল হবে। ওরা চ্যালেঞ্জ জানাবে ভদ্দরলোকের সমাজকে! যদিও সকলের জানা তবু আর একবার  নৈরাজ্যবাদীর মতন খুঁচিয়ে ঘা করি”!!!!

ফটোঃ জয়দীপ ঘোষ

 

–বাংলাব্লগ টিম

Posted in আলোচনা, রাজনীতি, সংবাদ, সমাজ | Tagged , , , , , , | মন্তব্য দিন

Sunday, June 19, 2016

বিষয়ঃ সময়ের দলিল

Posted on by
 
প্রিয় পাঠক/ব্লগার,

আমাদের বন্ধু সমীর ভট্টাচার্য সম্পর্কে এর আগে একটি লেখা বাংলাব্লগে প্রকাশ করেছিলাম। ইদানিং তিনি ফেসবুকে নিয়মিত লিখছেন। বাংলাব্লগের তরফে ফেসবুকে পোস্ট করা তাঁর একটি অনবদ্য লেখা আমরা পুনরায় প্রকাশ করলাম। কেমন লাগলো জানাবেন, মতামত পোস্ট করুন এই আমাদের অনুরোধ। ধন্যবাদ!

–বাংলাব্লগ টিম


সময়ের দলিল-১

ফেসবুক / ১৩ জুন ২০১৬ রাত্রি ১.০১ মি।

 

সমীর ভট্টাচার্য

সমীর ভট্টাচার্য 

আমাদের তো ছিল দীর্ঘ যাত্রা পথ। দীর্ঘ আলোচনা। করতলে ধৃত আমলকী ছিল ব্রহ্মাণ্ড। আমাদের সঙ্গে ছিল রাশি রাশি বই। কোটেশন । সংবাদপত্রের পুস্তক পরিচিতি ও সমালোচনা, সমাজ বিপ্লবের যাবতীয় দলিল দস্তাবেজ। শহর নগর কারখানা গ্রামাঞ্চলের খুঁটিনাটি পর্যন্ত প্রলম্বিত। দাড়িতে হাত বুলিয়ে আমরা বলতে পারতাম গুয়াতেমালা থেকে দিয়েগো গার্সিয়া, গর্বাচেভের গার্লফ্রেন্ড থেকে হোচিমিন সরণী পর্যন্ত আমাদের যাতায়াত। রাতজেগে ইয়াংসো গদার বা ফার্নান্দো সোলানাস, ঋত্বিক কুমার ঘটক থেকে রামকিঙ্কর বেইজ, চে গেভারা থেকে শ্রীকাকুলাম সবই গলাধঃকরণ করেছি। খুবই নিশ্চিন্তে ছিলাম মহেন্দ্র দত্তের ছাতার মত মার্কস ও কোকাকোলার ছায়ায় (অবশ্য পেপসিও কম যায় না ), বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও হেমাঙ্গ বিশ্বাসের ‘শঙ্খচিল ‘এর গানে গর্জনের মাঝখানে, ব্যারিটোন টানে দেবব্রত বিশ্বাসের ‘বিশ্বভরা প্রাণ’ এ। ছাত্র রাজনীতির দিন শুকিয়ে গেলে আমরা বুবুঝলাম, বেলা হল । অর্থাৎ আমরা চল্লিশ পেরিয়েছি । ততদিনে অনেকেই বিবাহিত । অনেকেই সাগরপাড়ি। অনেকেরই পক্ককেশ, মায় বিরল কেশ পর্যন্ত । বেদনার সন্তান হয়ে গেলাম আমরা। ঐ যে, যৌবন যায়, যৌবন বেদনা যে যায় না ….! অনেকেই কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসের সন্ধ্যার আড্ডা ছেড়ে সন্ধ্যার পানশালায়, অনেকেই দিশী,কেউ কেউ বিদেশী তরলের গ্লাসে ভিজিয়ে নিচ্ছি দস্তয়ভস্কি থেকে কাফকা বা গ্যাব্রিয়েল মার্কেজের নিঃসঙ্গতার অভিযাত্রা। হাতের পেজার রূপান্তরিত হলো সেল ফোনে। এল একুশ শতকের হাওয়া। সেই হাওয়ায় আমরা কৃত্তিবাস, হাংরি জেনারেশন, বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ,1970 দশকের এর গোলাপের পাপড়িগুলোকে এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে দিলাম। ইন্টারনেট বা অন্তর্জাল যাত্রা আমাদের পথ সুগম করে তুললো আরও। বাজার খুলেছিল আগেই। গানে কবীর সুমন (সুমন চট্টোপাধ্যায় ) ‘গানওয়ালা ‘ অভিধায় বাজারের রঙ্গ-কে আলিবাবার চিচিংফাঁক মন্ত্রে খুল্লাম খুল্লা করে ছাড়লেন। ‘মহীনের ঘোড়া ‘র গৌতম চট্টোপাধ্যায় নিওলিথ স্তব্ধতায় ধীরে ধীরে ঢাকছেন। চিত্রকলায় ও ভাস্কর্যে রামকিঙ্কর বেইজের মহাপ্রস্থানের পরে আমরা তবু টেনে নিয়েছিলাম নিখিল বিশ্বাস থেকে মীরা মুখার্জী, প্রকাশ কর্মকার, আরও অনেকানেক শিল্পীকেই । আমরা, মানে এই আমাদেরই শিল্পকলার লোকজন। ছবি থেকে গান, বাগান থেকে বাড়ি, বাড়ি থেকে জমি সবকিছুই বিক্রয়যোগ্য হয়ে উঠলো। প্রোমোটিং এর কল্যাণে রাশি রাশি হাউসিং কমপ্লেক্স ও বিগবাজার শপিং মলের উত্থান। এ ছিল হিমশৈলের চূড়ার মতো। মাথাটা দেখা যাচ্ছিল। বিস্ফোরণের মতো নেমে এলো সামাজিক বড়ো আন্দোলনের নেতারা । নিজের বাগানে ফুল ফোটানোর থেকে হর্টিকালচারে সানফ্লাওয়ার দেখতে পছন্দের লোক বেড়ে গেলো। ফুলের পুরোনো দোকানগুলিতে শিক কাবাব ঝুললে আমরা পছন্দ করলাম বেশি। ইন্টারনেট থেকে শুরু করে মোবাইল অ্যাপে ভেসে উঠল জলপরীদের সর্বাঙ্গ। সমস্ত প্রতিবাদ ভেসে গেলো চুম্বনে চুম্বনে।
(এ লেখাটি আমারই। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় না, ফেসবুকে শেয়ার করি, সেরকম একটা লেখার অংশ। তবে লোকজনকে বোর করবো না। এইটুকুই দিলাম।)

সময়ের দলিল-২


ফেসবুক / ১৪ জুন ২০১৬ রাত্রি ৯.২৬ মি।



সমীর ভট্টাচার্য

না । আমরা আর পাড়ার জঞ্জাল সাফাই অভিযানে যুক্ত হলাম না। আশপাশের যাবতীয় ধূর্তামী ও হিংস্রতাকে ফেসবুকে ঢুকিয়ে দিলাম। বুক চিতিয়ে দাঁড়ালাম না, কেননা আমাদের বুক নেই। ‘ধর্ষণ ‘এর যাবতীয় তথ্য টেলিভিশন বা সংবাদপত্রের মাধ্যমে জেনে সংবাদপত্রেই প্রতিবাদী চিঠি লিখতে শিখলাম। ধর্ষণ কি ও কেন এবং কারা দায়ী ইত্যাদি নিয়ে চায়ের দোকান সরগরম করে তুললাম। যেহেতু একদিন ঘর থেকে শুরু করে বিশ্বের সব জায়গাকেই মুক্তাঞ্চল ভাবতে শিখেছিলাম, তাই, এমনকি, রাতবিরেতের পাড়ার নৈশ পাহারার মানুষগুলিও নিরাপত্তার অভাবে টিভি চালিয়ে যাবতীয় দুষ্কর্মের সাক্ষী হতে চাইলাম। কোন জেলায় নদীপাড় ভাঙন রোধ, বস্তি উচ্ছেদ, প্রকৃতির ঝড়ের শিকার, বন্যায় আক্রান্ত দুর্গতদের কাছে যাওয়া, পাঠ্য তালিকায় বিপুল অসংগতি, প্রান্তিক মানুষদের সরকারি সাহায্যের মাঝখানে গজিয়ে ওঠা কিছু মানুষের অবিচার, গণহারে শিশুমৃত্যু, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থায় চূড়ান্ত অসঙ্গতি, এমনকি সমালোচনায় সরব মানুষদেরও ভোট নির্ভর প্রতিবাদ সব কিছুকেই আমরা মান্যতা দিলাম। আলোচনায় ঘুরে ফিরে আসে নানা আর্থিক অনাচার। কিন্তু যে আমরা মার্কস থেকে গান্ধী, যে আমরা চে গেভারা থেকে মিশেল ফুকো, যে আমরা রবীন্দ্রনাথ থেকে নবারুণ, রামকিঙ্কর থেকে মীরা মুখোপাধ্যায়, হেমাঙ্গ বিশ্বাস থেকে আজকের রাস্তায়,সেই আমরাই, কি আজ কোন গোপনাভিসারে লিপ্ত ? সবটাই কি ‘কাফকা কামু সার্ত্র / উল্টে গেল পাত্র? "

এই বিপুল জলতরঙ্গ রুধিবে কে। উদ্ধৃতি ,পাল্টা উদ্ধৃতি, পাহাড় প্রমাণ সংখ্যাতত্ত্ব, তথ্য ও বিপুল জ্ঞান ভান্ডার মাথায় নিয়ে “অপরের ম্লান মুখ দেখা ছাড়া প্রিয় সাধ” নেই আমাদের? সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের অতি বিখ্যাত লাইন “নাদের আলি, আমি আর কত বড়ো হবো “কাঁপা গলায় আবৃত্তি করে বেড়াবো ?
বড় বাঁধ, বড় বিপ্লব, বড় গাড়ি,সব সঅঅঅঅব আমাদের হতেই হবে? ছোটরা সবাই সচিন, সৌরভ, বাইচুং ভুটিয়া হয়ে উঠবে? এর পেছনে যে মুদ্রারাক্ষসের বিরাট ভূমিকা আছে, কে অস্বীকার করবে ? এই যে আমি লিখছি, আমিও কি এই বৃত্তের বাইরে? হয়তো কেন, নিশ্চয়ই নয়। তবু আজকে মনে হয় আমাদের জীবন থেকে চলে গিয়ে কি প্রকান্ড এক জ্বালামুখের দিকে চলেছি। সেই জ্বালামুখ কি শেষে আমাদেরকেই গিলে নেবে?

“কে আর হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে, হায় “। লিখলাম বটে ! সত্যিই কেউই বেদনা জাগাতে ভালোবাসে না । কোথায় কারা কিভাবে দিনাতিপাত করে, আমরা সাব-অলটার্ন আর মারজিনালিটি- র থিয়োরি গুলে খাওয়া লোকজন দুটোর আর তফাৎ করতে পারি না আজকাল । যেমন আমি চিন্তায় ‘এলিট ‘, বার্ডস আই ভিউ থেকে সংসার দেখা লোক, এদিকে টাকা পয়সার দিক, র্টের দিক থেকে মার্জিনাল। আমাদের অনেকেরই হয়তো বা সেই অবস্থা! শুধু Z!নতি পারো না। ভলতেয়ারের কাঁদিদ-এ শেষ লাইনটা ছিল অনেকটা এরকম ,আসল কথা হল নিজের জমি নিজে চাষ করা। ফয়েরবাখ-ও নাকি শেষ জীবনে গ্রামে গিয়ে নিজের জমি নিজে চাষ করতেন। আর শেষ কথাটা তো আমাদের গীতিকার কবি সাধক রামপ্রসাদ সেনই বলে গিয়েছিলেন, “এমন মানব জমিন রইল পতিত, আবাদ করলে ফলত সোনা “। সোনা তারপর বাংলায় কিছু ফলেও ছিল। তা দিয়ে আমরা গয়না বানিয়ে ফেলেছি। সেই গয়নার ঝলকানিতেই আমাদের আপাতত চিৎকার, শীৎকার চেঁচামেচি ইত্যাদি প্রভৃতি। “তবু কোথাও মায়া রহিয়া গেল।”

(এই লেখাটি আমার আগের লেখাটার শেষাংশ। ভেবেছিলাম এইসব হাবিজাবি লেখা পোস্ট করবো না। কেউই পড়ে না, আমিও পড়িনা। তারপর মানুষজন বোকা নয়। সবাই সব কিছু জানে বোঝে । ফালতু তাঁদের সময় নষ্ট। কিন্তু, আমারও তো কিছু একটা করা চাই। এইসব হাবিজাবি পোস্ট করলাম সেই কারণেই। উপদেশ : কেউ এইসব লেখা পড়বেন না প্লীজ। জ্ঞান নেই আমার । অজ্ঞানতা আমার পুঁজি। জ্ঞানী মানুষজন ক্ষমা করবেন।)

 

Posted in আলোচনা, প্রবন্ধ, রাজনীতি, শিল্প, সংবাদ, সমাজ, সাহিত্য | Tagged , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , | মন্তব্য দিন | সম্পাদনা

Wednesday, June 8, 2016

বিষয়ঃ একটি বিজ্ঞপ্তি


প্রিয় পাঠক/ব্লগার,

বাংলাব্লগের তরফে ওয়েবসাইট / ব্লগসাইট তৈরীর একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে

ওয়েবটিম-২০১৩ এই কাজটি করে চলেছে


বিজ্ঞপ্তি   =======================================================================

বাংলাব্লগের তরফে ওয়েবসাইট / ব্লগসাইট তৈরীর একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওয়েবটিম-২০১৩ এই কাজটি করে চলেছে। যে সমস্ত পাঠক / ব্লগার-রা ঠিক অভ্যস্ত নন বা কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পাঠানো ব্যয়বহুল বাজেটের মুখে পড়ে বিভ্রান্ত বোধ করেন তাঁদের জন্য আমাদের এই ব্যবস্থাপনা। আমরা বাংলাব্লগের তরফে সার্ভে করে দেখেছি যে অনেকেই আছেন যাঁরা তাঁদের নিজস্ব লেখাপত্র/ছবি/কার্টুন/ফটোগ্রাফি/গল্প/কবিতা/সংবাদ ইত্যাদি এমন কি অনেক সংস্থার (নাটক/গান/চলচিত্র/লিটল ম্যাগ ইত্যাদি) পরিচালকরা চান তাঁদের কন্টেন্ট বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষি মানুষদের সামনে হাজির করতে। এছাড়াও বিভিন্ন পেশাগত কারণে অনেকে চান মূল কন্টেন্ট-এর ইংরাজী বা কোনও ভারতীয়/ ইউরোপীয় ভাষায় রূপান্তর আবিশ্ব নেটিজেনদের কাছে পৌঁছে দিতে। আজকের দিনে এটাই স্বাভাবিক! তাই আমরা এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানাচ্ছি যে আপনারা ইচ্ছা করলে খুব কম খরচে আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট / ব্লগসাইট প্রকাশ করতে পারেন। এ বিষয়ে বিশদে জানতে হলে নীচের ই-মেল লিঙ্কে ক্লিক করুন অথবা মেইল করুন। ধন্যবাদ!
 
বাংলাব্লগ@জিমেল.কম
baanglablog@gmail.com

--বাংলাব্লগ টিম
=======================================================================

Tuesday, June 7, 2016

বিষয় : চিত্রকলা

Posted (in WP) on

প্রিয় পাঠক/ব্লগার,

সমীর ভট্টাচার্যের ড্রয়িং


সমীর ভট্টাচার্য  জন্ম ১৯৫৭। ১৯৪৭-এর রাজনৈতিক ডামাডোলে পূর্ব বাংলা থেকে উৎখাত হয়ে আসা একটি পরিবারের মেজো সন্তান সমীরের ছেলেবেলা থেকে আজ পর্য়ন্ত দীর্ঘ যাপন উত্তর কলকাতার অলিতে গলিতে গঙ্গার ধারে জীবন যুদ্ধের খাপে খোপে গানে-গল্পে-উপন্যাস-ছবি-কবিতা-রাজনীতি-ছাত্র আন্দোলন-লিটিল ম্যাগ-হকারী-মকারী ও আরও অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা সমীরের তীব্র রসবোধ প্রাণ প্রাচুর্যে ভরা বিচিত্র জীবনধারা জীবনবোধ তর্কযুদ্ধে প্রতিপক্ষকে কুপোকাত করার অসামান্য দক্ষতা বিশাল বন্ধু-বৃত্তে সাধারণ ও অসাধারণ গুণী মানুষদের কাছে আজও আকর্ষণীয় ও সমাদৃত। অতুলনীয় রবীন্দ্র বা জীবনানন্দ চর্চা সমীরকে তাড়িত করে কোনো এক মহতী জীবন ভাবনায়। প্রচলিত নিয়ম শৃঙ্খলা বাঁধাধরা ছকের বাইরে গিয়ে নিজের মতো করে বেঁচে থাকার তীব্র মদিরাময় আসক্তি স্ব-অধীনতা মনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা জননীর অনুপ্রেরণা তাঁকে প্রাণীত করে তাঁর নিজস্ব নির্মাণে – কবিতা ও ছবিতে। আমাদের বন্ধু সমীর ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজের প্রাক্তন ছাত্র বর্তমানে নিরলস শিল্প ও কাব্য চর্চায় মগ্ন । জললিপি নামে একটি কাব্যগ্রন্থ পুরস্কৃত ও প্রকাশিত হয়েছে এবং একই সঙ্গে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়ে চলেছে। ছাত্রজীবনের গোড়া থেকেই শিল্পীদল এবং শিল্পপ্রদর্শনীর সঙ্গে জড়িত। তাঁর প্রচুর কাজ যেমন প্রদর্শীত হয়েছে তেমনই সংগৃহিত হয়েছে দেশের নানা প্রান্তে। আমরা এখানে তারই একটি ড্রয়িং উপস্থিত করলাম।

সমীর ভট্টাচার্য  ড্রয়িং-১  কালি ও কলম   ২০০৯
সমীর ভট্টাচার্য   ড্রয়িং-১   কালি ও কলম   ২০০৯

Thursday, June 2, 2016

BanglaBlogaru: বিষয় : শিণ্পী-ব্যক্তিত্ব

BanglaBlogaru: বিষয় : শিণ্পী-ব্যক্তিত্ব: প্রিয় পাঠক/ব্লগার, বিষয় : শিণ্পী-ব্যক্তিত্ব Posted in WP বাংলাব্লগ on নভেম্বর 10, 2013 by নীলসীন neelseen   ...

বিষয় : শিণ্পী-ব্যক্তিত্ব

প্রিয় পাঠক/ব্লগার,

বিষয় : শিণ্পী-ব্যক্তিত্ব
Manna Dey


শিল্পীর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা যেন অটুট থাকে

“শিল্পীর কোনও মৃত্যু নেই”,” তিনি আর নেই”, “কিংবদন্তী শিল্পী মান্না দে”। শ্রদ্ধার্ঘ হিসাবে এইরকম কযেকটি কথা লিখে একটি সহজ সরল গ্রাফিক্স্ শিল্পীর প্রয়াণের কয়েক ঘন্টার মধ্যে বাংলাব্লগের পক্ষ থেকে আমরা প্রকাশ করেছিলাম মূলতঃ ফেসবুকের পাতায়। সবেমাত্র জন্ম নেওয়া বাংলাব্লগের পক্ষ থেকে এটাই ছিলো তার প্রথম শ্রদ্ধার্ঘ।

মান্না দে আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। বেশ কিছুদিন হলো তিনি প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর সম্পর্কে এখানে আমাদের বিশেষ কিছুই বলার নেই। বাঙালী মাত্রই তাঁকে চেনেন জানেন। কিন্তু তাঁর অনুপস্থিতি কখনোই মনে করায় না যে তিনি আমাদের মধ্যে নেই। তিনি বেঁচে আছেন তাঁর সৃষ্টির মধ্যেই। তবুও কিংবদন্তী শিল্পীকে স্মরণ করতে গিয়ে “শিল্পীর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা যেন অটুট থাকে!” এই কথাটা যেন আমরা ভুলে না যাই। আমরা তাঁকে প্রণাম জানাই।

ফটো ক্রেডিট- ফেসবুক

বিষয়ঃ শিল্প আলোচনা (২)

বিষয়ঃ শিল্প আলোচনা
প্রিয় পাঠক/ব্লগার,

বাই আয়োজিত দ্বিতীয় শিল্প আলোচনা সভায় ব্যাপক ভীড়

গত ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫ কলকাতার চারুকলা ভবনের একতলায় অবস্থিত অবনীন্দ্র সভাগৃহে বেঙ্গল আর্ট আয়োজিত দ্বিতীয় শিল্প আলোচনা সভায় তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ব্যাপক ভীড় হয়। বাই-এর সদস্যরা ভাবতেই পারেন নি যে গতবারের তুলনায় এবারে এত ভীড় হবে। সাধারণতঃ এই সভাঘরে এই ধরণের আলোচনা সভায় ২৫-৩০ জনের বেশী লোক হয় না। সম্ভবতঃ আলোচনা সভার গুরুত্ব বুঝে তরুণ ও বয়ষ্ক উভয় প্রজন্মের স্রোতারা এবার উপস্থিত হয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে। এমন কি একজন বিদেশী মহিলাও উপস্থিত ছিলেন এই সভায়, মনে হয় তিনি বাংলাভাষা বোঝেন। দুটি পর্বে বিভক্ত আলোচনা সভায় অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে শেষ পর্যন্ত সকলেই উপস্থিত ছিলেন, এমন কি দ্বিতীয় পর্বেও অনেককেই সভাঘরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। কোনোরকম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই মাঝের বিরতিতে টোকেন হাতে নিয়ে কিউ-এ দাঁড়িয়ে চা এবং সিঙ্গাড়া নিয়েছেন স্রোতা-দর্শকদের সবাই। বাই-এর সদস্যদের মতে এটা একটা নজরকাড়া বিষয়। আলোচনা সভার সাফল্য বাই সদস্যদের যথেষ্ট অনুপ্রাণীত করেছে এবং তাঁদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে।  বক্তাদের নজরকাড়া ভাষণ এবং সঞ্চালকের সুদক্ষ পরিচালনায় প্রশ্নোত্তর পর্বে স্রোতা-দর্শকদের প্রশ্ন উত্থাপন করার সুযোগ থাকায় সভা খুবই প্রাণবন্ত ছিল। আমরা বাংলাব্লগের পক্ষ থেকে বাই-এর সদস্যদের তোলা কিছু ছবি এখানে উপস্থিত করছি। পরবর্তী রিপোর্টে বাংলাব্লগ প্রতিনিধির লেখায় সভার আলোচিত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য থাকবে। বাই-এর সহযোগী বা এ্যাসোসিয়েট হিসাবে প্রচারের দায়িত্বে থাকা বাংলাব্লগ পরপর অনেকগুলি রিপোর্ট প্রকাশ করবে। আপনারা সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।
বাঁ দিক থেকে - সুনন্দ কুমার সান্যাল, পার্থ দাশগুপ্ত এবং তপন ভট্টাচার্য
অনুষ্ঠান শুরু হবার আগে
তিন জন বক্তা
দর্শক-শ্রোতারা
দর্শক-শ্রোতারা
দর্শক-শ্রোতারা
সুনন্দ ও বাই সম্পাদক নবকুমার
তপন ভট্টাচার্য
নবকুমার বাই-এর তরফে লেখা পাঠ করছেন
সুনন্দ এবং পার্থ বক্তব্য রাখছেন
দর্শক-শ্রোতা
সুনন্দ বক্তব্য রাখছেন
বাই সদস্য
বক্তারা
মাঝের বিরতিতে চা পান
মাঝের বিরতিতে শ্রোতাদের চা পান
মাঝের বিরতিতে শ্রোতাদের চা পান ও আলোচনা
বক্তারা মগ্ন আলোচনায়
মাঝের বিরতিতে শ্রোতাদের চা পানের জন্য কিউ-তে অপেক্ষা
গল্পগুজব ও চা সিঙ্গাড়া
হলের মধ্যে বাই-সদস্যরা
মাঝের বিরতিতে লম্বা কিউ
সুনন্দ ভাষণ দিচ্ছেন
শ্রোতারা অনূষ্ঠানে মগ্ন
পার্থ ও তপন, মাঝখানে একজন শ্রোতা
বক্তাদের মগ্নতা
বক্তাদের মগ্নতা
বক্তাদের মগ্নতা
শ্রোতাদের মগ্নতা
শ্রোতাদের মগ্নতা
মাঝের বিরতিতে
বাই সদস্যরা
শ্রোতারা
শ্রোতারা এবং বাই-সদস্য
শ্রোতারা এবং বাই-সদস্য
শ্রোতারা এবং বাই-সদস্য
শ্রোতারা এবং বাই-সদস্যরা
বক্তারা
বিদেশীনি শ্রোতা ও ভিডিও সঞ্চালক
হলে বাই-সদস্যরা
হলে বাই-সদস্যরা
দর্শক ও বাই সদস্যরা আলোচনায়

ফটোগ্রাফিঃ নবকুমার চক্রবর্তী, সুমিত চৌধুরী, সুদীপ রক্ষিত।

–বাংলাব্লগ টিম
Posted in শিল্প, সংবাদ | মন্তব্য দিন

বিষয়ঃ ধ্বংস ও মৃত্যু

প্রিয় পাঠক/ব্লগার,

ধ্বংস ও মৃত্যু

না মানিনা! মেনে নেওয়ার মতন নয়। এ কোনও নিছক দুর্ঘটনা নয়! এ বিজ্ঞানের ব্যর্থতা নয়! এ গুয়েরনিকা নয় নন্দীগ্রামও নয়! তবে তার থেকে কিছু কম নয়! এ ইচ্ছাকৃত সাজানো ঘটনা, অবিমৃশ্যকারীতা, চূড়ান্ত দায়িত্বহীনতা, গাফিলতি। মানুষের প্রাণের কোনও দাম না দিতে চাওয়া উন্নয়ন প্রক্রীয়ার নিষ্ঠুরতা! ভয়ঙ্কর লোভ আর লালসার ফল যার কাছে মানুষের জীবনের কোনও অর্থ নেই! আমরা জানিই না যে কখন আমাদের ঘাড়ের উপর ভেঙ্গে পড়বে উন্নয়ন নামক সুবৃহৎ একটি ‘ঘণ্টা’র কোনো এক ইমারত! কোনও নাগরিক জানেন না যে সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাত্রে বাড়ী ফিরতে পারবেন কিনা—লাশকাটা ঘরে তাঁর স্থান হবে কিনা! আমরা স্তম্ভিত! আমরা বিচলিত ও ব্যথিত! এর সঙ্গে শুরু হয়েছে গা বাঁচানো নাটকীয় চাপান উতোরের ঘ্যানঘ্যানানি! ধুলো ঝাড়ার মতন করে হাত ঝেড়ে ফেলে পরস্পর দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে চাইছে লোভী ক্ষমতাপিপাসুরা! চিটেগুড়ের উপর উড়তে থাকা ভনভনানো মাছির মতন ক্ষমতার পদপ্রার্থী লোভীর দল, ঘটনার আবর্তে তাল ঠুকছে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য। বিপন্ন মানুষের কান্না ঐ ক্ষমতাবাদীদের তাল ঠোকার কনটেন্ট!! অদ্ভুত আশ্চর্য এক আঁধার! সামাজিক জীব হিসাবে মূল্যবোধহীন নীতির কাছে আত্মসমর্পণ। নির্বিকার নির্লজ্জ প্রগতিশীলতা! টিভির পর্দায় পচনশীল বাগ্মীতা! ক্রিকেট সন্ধ্যায় মদিরা মুরগীতে মগ্ন উল্লাশপ্রিয় জনতা জনার্দন—একটি ব্ল্যাক ডে!! উন্নয়ন ইতিহাসের কালো দিন!!! মৃতের আত্মা যেন ঘুরপাক খায় কল্লোলিনীর মাথার উপর। আমরা জানি না এর শেষ কোথায়? এই হত্যার দায় কে নেবে??!

আমরা বাংলাব্লগের পক্ষ থেকে এই অমানবিক ঘটনার প্রতি তীব্র ধিক্কার জানাই। আমাদের দাবী কোনও রকম ছলাকলা না করে রাষ্ট্রকে এর চূড়ান্ত দায়িত্ব নিতে হবে! সমস্ত রকমের অপরাধ প্রবণতাকে নিশ্চিহ্ন করে অপরাধীদের চরমতম শাস্তির ব্যবস্থা করে নাগরিকদের সুরক্ষিত করতে হবে নচেৎ ভবিষ্যতের সমাজ একটি তমসাচ্ছন্ন নীতিহীন পূতিগন্ধময় গর্ভাধারে পরিণত হবে। ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না তার জন্য!!! ধন্যবাদ।

–বাংলাব্লগ টিম

Posted in বাংলাব্লগ, সংবাদ, সমাজ | Tagged , , , , , , , , , , , , , , , , , , | মন্তব্য দিন | সম্পাদনা

বিষয়ঃ নির্বাচন ও কবিতা

প্রিয় পাঠক/ব্লগার,

ভাতৃঘাতি পারস্পরিক হানাহানি ছেড়ে বাঙালী চলে আসুক এই উন্নয়ন যজ্ঞে

 

অনেকদিন কিছু পোস্ট করা হয় নি। নানা কারণে ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে আমরা পার করে এলাম। নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়টা কেটে গেছে নানা জিনিস পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে। ভার্চুয়াল জগতে নির্বাচন নিয়ে নানা মন্তব্য / মতামত, ভাইরাল হয়ে যাওয়া আমোদপ্রিয় রসিক বাঙালীর কার্টুন, সংবাদ, সমালোচনা ইত্যাদির ঝড় বয়ে গেছে! এখন সব শান্ত! নতুন কোনও ইস্যু নিয়ে পরবর্তী সময়ের জন্য অপেক্ষা। তবুও আমরা আতঙ্কিত হয়ে উঠি যখন সংবাদে শুনি যে কেউ আহত হয়েছেন, কেউ মারা গেছেন নির্বাচন উত্তর বা পুর্ব পরিস্থিতিতে। নির্বাচনে হার জিৎ থাকবেই। যাঁরা জিতলেন তাঁরা নতুন সরকার গড়বেন, অনেক দায় দায়িত্ব তাঁদের। যাঁরা হারলেন তাঁদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে সামনের দিনগুলোতে। পশ্চিমবাংলার উন্নয়নে সকলেরই সমান দায় দায়িত্ব- হাতে হাত মিলিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে খাড়া করে তোলার কাজ আজ আমাদের সকলের। তাই এই ভাতৃঘাতি পারস্পরিক হানাহানি ছেড়ে বাঙালী চলে আসুক এই উন্নয়ন যজ্ঞে। আমরা নতুন করে শপথ নিই। শান্তি প্রতিষ্ঠা করি। সকলকে শুভেচ্ছা জানাই!

এই পোস্টে কবি কৌশিক গাঙ্গুলীর দু’টি কবিতা আমার প্রকাশ করলাম । ফেসবুকের মাধ্যমে কবি কৌশিক আমাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন অনেকদিন আগে। সময় এবং সুযোগমত আমরা প্রকাশ করলাম। ভালো লাগলে জানাবেন।

— বাংলাব্লগ টিম

কবিতা ——————————————————————————————————————

একটি খোলা চিঠি

আপনার সঙ্গে দেখা হলেই মাষ্টারমশাই,
দেখবেন আমার দুচোখে স্বপ্নের অসুখ ।
বুঝিনা কিভাবে কাটবে জীবন বেপরোয়া ,
এই বাউন্ডুলেপনা আগুন ধরায় না শুধু খ্যাপাটে ঝড় উদাসীন মানুষের মতন ।
তারপর মাষ্টারমশাই কোথায় রাখলেন সেই কাঁটার মুকুট ?
দেখুন আমার সঙ্গে ক্রুশকাঠ,
ছেঁড়া ট্রাউজারের পকেটে খোলামকুচি ।
পৃথিবীর অবশিষ্ট প্রতিটি সবুজ প্রান্তরে আমার তাবু খাটানো আর সারা আকাশজুড়েই রাজত্ব,
গান গেয়ে বেড়াই গলা খুলে কোনো ব্যাকারণ না মেনে প্রাণের তাগিদে ।
যাদের বুকের মধ্যে ঘরবাড়ি,
যাদের হাসির মধ্যে অজস্র মণিমুক্তো,
যারা হৃদয় ছোঁয়া মানুষ – এক পৃথিবী ভালোবাসা,
মাষ্টারমশাই আমরা তাদের শুধুই তাদের ।

কালবৈশাখী

সারা দুনিয়াজুড়ে বাড়ে দুর্নীতি আর সন্ত্রাস,
বিষন্ন ও নিরন্ন মানুষের বুকে নিষ্ঠুর পরিহাস!
বয়স মানেনা ধর্ষকদের ইতিহাস বিকৃতির সঙ্গে নেশার সহবাস ।
শিল্পায়নে বন্ধ হয় চাষাবাদ ধর্মের নামে বাড়ে মৌলবাদ ।
হিংস্রতার আগুনে পোড়ে বাড়ি অভাবেতে ফাঁকা ভাতের হাড়ি ।
অহংকার আর ক্ষমতার আস্ফালন দেখা যায় ,
যে বসে সিংহাসনে সেই রাবণ হয় – হুজুগের ফুর্তিতে মাতে জনগণ ,
নোংরা রাজনীতিতে বেপরোয়া দুঃশাসন ,
প্রতিবাদ মানে তো লাশ হতে চাওয়া – এইভাবেই বসবাস আসুক গরম হাওয়া ।
যদি হয় কেউ দুখী হোক তবু আসুক কালবৈশাখী ।

– কৌশিক গাঙ্গুলি



Posted in কবিতা, বিভাগবিহীন, সংবাদ, সমাজ | Tagged , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , | মন্তব্য দিন