BanglaBlog

প্রিয় পাঠক / ব্লগার
BanglaBlog-logo

বাংলাব্লগ-কি ভাবে যোগ দেবেন?
ওয়ার্ডপ্রেস BanglaBlog- No of Hits & Likes

স্বাগত!

আপনারা যাঁরা বিভিন্ন সোস্যাল‌ নেট্ ওয়ার্কিং সাইট্ থেকে লিংক্ পেয়ে অথবা সরাসরি ওয়ার্ডপ্রেস্ বাংলাব্লগে চলে এসে কমিউনিটি-তে যোগ দিতে চান, তাঁরা ডানদিকের কলামে ক্যাটাগরি থেকে বাংলাব্লগ সিলেক্ট করুন। সেখান থেকে আপনি ক্যাটাগরি আর্কাইভস্-এ পৌঁছেবেন। এই ক্যাটাগরি আর্কাইভস্-এ আপনারা বাংলাব্লগ-১, বাংলাব্লগ-২, বাংলাব্লগ-৩বাংলাব্লগ-৪ পাবেন। এগুলির যে কোনো একটিতে ক্লিক্ করলে আপনারা নির্দিষ্ট পেজ-এ পৌঁছবেন। কি ভাবে যোগ দেবেন? – তার পদ্ধতি বলে দেওয়া আছে বাংলাব্লগ-২-এ। ভালো করে পড়ে নেবেন। অসুবিধা হলে মেল আইডি দেওয়া রইল যোগাযোগের জন্য।
ধন্যবাদ,

বাংলাব্লগ টিম

baanglablog@gmail.com


বাংলাব্লগ : পরীক্ষামূলক

প্রিয় পাঠক / ব্লগার,

শুরু হল বাংলা ব্লগ

BanglaBlog-logo 
বাংলা ভাষায় কথা বলি
প্রিয় পাঠক/ব্লগার,
আপনাদের শুভেচ্ছা নিয়ে শুরু হল বাংলা ব্লগ। ব্লগ মানেই আড্ডা। তাই সকলের প্রতি সাদর আমন্ত্রণ রইল! এই ওয়ার্ডপ্রেস্ বাংলাব্লগে আপনারা জনে জনে যোগ দিন, এই আমাদের আব্দার, অনুরোধ, কামনা, বাসনা! আপনাদের উপস্থিতি আমাদেরকে অনুপ্রাণীত করবে। আসুন, আমরা আমাদের এই প্রিয় বাংলাভাষা নিয়ে ‘নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান’-এর পৃথিবীতে, অন্তর্জালের জগতে অত্যাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশ্বব্যাপী কর্মকান্ডে যোগ দিই। ‘যত মত তত পথ’ নিয়ে চলুক বিনিময়, অন্য সকল ভাষার প্রতি সশ্রদ্ধ ভালবাসা ও সম্মান রেখে শুরু হোক আমাদের পথ চলা! বিশেষত: সেই আন্তর্জাতিক যোগাযোগ রক্ষাকারী ভাষা হিসাবে ইংরাজীর অসামান্য যাদুময়তা ও তথ্যপ্রযুক্তির জগতে তার মননশীল প্রয়োগের কথা মাথায় রেখেই শুরু হোক আমাদের কর্মকান্ড!

বাংলাব্লগ টিম
কলকাতা
৬ অক্টোবর ২০১৩
যোগাযোগ: baanglablog@gmail.com

বিজ্ঞপ্তি   =======================================================================
ad_web
বাংলাব্লগের তরফে ওয়েবসাইট / ব্লগসাইট তৈরীর একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওয়েবটিম-২০১৩ এই কাজটি করে চলেছে। যে সমস্ত পাঠক / ব্লগার-রা ঠিক অভ্যস্ত নন বা কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পাঠানো ব্যয়বহুল বাজেটের মুখে পড়ে বিভ্রান্ত বোধ করেন তাঁদের জন্য আমাদের এই ব্যবস্থাপনা।  আমরা বাংলাব্লগের তরফে সার্ভে করে দেখেছি যে অনেকেই আছেন যাঁরা তাঁদের নিজস্ব লেখাপত্র/ছবি/কার্টুন/ফটোগ্রাফি/গল্প/কবিতা/সংবাদ ইত্যাদি এমন কি অনেক সংস্থার (নাটক/গান/চলচিত্র/লিটল ম্যাগ ইত্যাদি) পরিচালকরা চান তাঁদের কন্টেন্ট বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষি মানুষদের সামনে হাজির করতে। এছাড়াও বিভিন্ন পেশাগত কারণে অনেকে চান মূল কন্টেন্ট-এর ইংরাজী বা কোনও ভারতীয়/ ইউরোপীয় ভাষায় রূপান্তর আবিশ্ব নেটিজেনদের কাছে পৌঁছে দিতে। আজকের দিনে এটাই স্বাভাবিক! তাই আমরা এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানাচ্ছি যে আপনারা ইচ্ছা করলে খুব কম খরচে আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট / ব্লগসাইট প্রকাশ করতে পারেন। এ বিষয়ে বিশদে জানতে হলে নীচের ই-মেল লিঙ্কে ক্লিক করুন অথবা মেইল করুন। ধন্যবাদ!
বাংলাব্লগ@জিমেল.কম
baanglablog@gmail.com


========================================================================

বিষয় : বাংলাব্লগ-১

প্রিয় পাঠক / ব্লগার
 
 

কি কি করবেন?

আপনার লেখা / ছবি / কার্টুন / ফটো / ভিডিও কিভাবে পাঠাবেন…

আপনারা আপনাদের লেখা, ছবি, কার্টুন, ফটো, ভিডিও পাঠান, প্রকাশিত লেখা বা ব্লগ-কনটেনট্ নিয়ে মতামত দিন। চিঠিপত্রের মাধ্যমে লেখা পাঠাতে পারেন। ঠিকানা, ই-মেল ঠিকানা ও ফোন নাম্বার এই ব্লগের ‘যোগাযোগ’ বিভাগে দেওয়া আছে। প্রয়োজন হলে বা বিশদে কিছু জানতে হলে ফোনে বা ই-মেলে য়োগাযোগ করুন। লক্ষ্য করুন প্রতিটি লেখার নিচে ‘মন্তব্য’ নামে একটি বাটন্ দেওয়া আছে। ‘মন্তব্য’ লেখার বাটন্-এ ক্লিক্ করলে একটি খোপ বা টেক্ট্ ইনসার্ট বক্স্ (লিভ্ ইয়োর রিপ্লাই) পাবেন। ওখানে আপনার মন্তব্য ইনসার্ট করে পোস্ট করে দিন। এছাড়া ই-মেল মারফত লেখা/ছবি/কার্টুন/ফটো/ভিডিও বা মতামত পাঠাতে পারেন। মনে রাখবেন, আপনার কম্পিউটারে ‘অভ্র’কি-বোর্ড ইন্সটল্ করা না থাকলে আপনি বাংলা লিখতে পারবেন না। এই অভ্র ফন্ট ও কি-বোর্ড ব্যবহার সম্পূর্ণ বাণিজ্য-শর্ত-মুক্ত(ফ্রি)। ওমিক্রনল্যাব.কম্ থেকে কি-বোর্ড এবং ফন্ট্ নামিয়ে নিতে পারেন। অভ্র-র সাইটে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট পরামর্শ দেওয়া আছে আর ম্যানুয়াল-টা ভালো করে পড়ে নেবেন, তাহলে কোনো অসুবিধায় পড়তে হবে না। ইন্সটল করার পর এম.এস.ওয়ার্ড বা কোনো টেক্সট্ এডিটারে আপনার লেখা লিখুন, কপি করুন এবং লিভ্ ইয়োর রিপ্লাই-তে রাইট ক্লিক্ করে পেস্ট্ করুন। এরপর নিচে পোস্ট কমেন্ট্-এ ক্লিক্ করুন। পরীক্ষা করে দেখুন কি ফলাফল হয়।

যোগাযোগ:

baanglablog@gmail.com

 

বিষয় : বাংলাব্লগ-২

প্রিয় পাঠক / ব্লগার
 
 
কিভাবে এই ব্লগে যোগ দেবেন?
Follow Blog


আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস্ ব্লগার হোন তাহলে একদম নিচে ফুটারের কাছে ইংরাজীতে ‘ফলো’ নামে একটি বাটন্ পাবেন, এই‌ বাটন্-এর উপর ক্লিক্ করলে একটি ‘ফলো বাংলাব্লগ’ লেখা একটি উইনডো পাবেন, তাতে আপনি আপনার ই-মেল আইডি অবশ্যই ইংরাজীতে টাইপ অথবা কপি-পেস্ট করুন এবং ‘সাইন‌ মি আপ্’ বাটন্-এ ক্লিক্ করুন। এটা করলে আপনি আপনার ইনবক্স্-এ নিয়মিত নিউ পোস্ট ডেলিভারি পাবেন। এছাড়া যারা ওয়ার্ডপ্রেস্ ব্লগার নন, তারা খানিকটা উপরে গেলে ‘ফলো ব্লগ ভায়া ই-মেল’ নামে একটি ফর্ম পাবেন, ওখানে আপনার মেল আইডি এনটার্ করতে পারেন, শেষে ‘ফলো’ বাটন্ প্রেস্ করুন। উভয়ক্ষেত্রেই প্রথমে আপনার কাছে একটি মেল আসবে কনফারমেশানের জন্য, আপনি যদি এ্যাকসেপ্ট‌‌ বাটন্ ক্লিক্ করেন তাহলে যোগাযোগ সম্পূর্ণ হবে। এরপর থেকে নতুন কোনো পোস্ট্ হলে আপনি সংবাদ পাবেন।
*এই লেখাটি সম্পূর্ণভাবে তাঁদেরই জন্য যাঁরা এ বিষয়ে বিশদভাবে অবগত নন।

*লেখাপত্র বা চিঠি পাঠালে দয়া করে অভ্র ফন্ট্ ও কি-বোর্ডে কমপোজ করে পাঠান যাতে দ্রুত পোস্ট্ করা যায়।

 

যোগাযোগ:

baanglablog@gmail.com

 

বিষয় : বাংলাব্লগ-৩

প্রিয় পাঠক /ব্লগার,
 

আমরা কি কি করবো…

ভবিষ্যতে আমরা কি কি করবো এবং আপনাদের জন্য আরও কিছু খুটিঁনাটি তথ্য ও বিষয়…

আমাদের পরিকল্পনায় অনেকগুলি ক্যাটাগরি রাখার ইচ্ছা আছে। তারমধ্যে শিল্প/সাহিত্য/সঙ্গীত/রাজনীতি/পরিবেশ/সমাজ/নাটক/চলচ্চিত্র/প্রযুক্তি/ক্রীড়া/ফটোগ্রাফি/ভিডিও/সাউন্ড ইত্যাদি। আবার কতকগুলি সাব ক্যাটাগরি থাকবে। যেমন-শিল্পকলার ক্ষেত্রে চিত্রকলা, ভাস্কর্য, গ্রাফিক্স, কোলাজ, ইনস্টলেশান, ভিডিও আর্ট, ইনট্যারাকটিভ আর্ট, হ্যাপেনিং, বডি আর্ট, দেশজ আর্ট, ডিজাইনিং, কার্টুন ইত্যাদি। অনুরূপভাবে সাহিত্য-র ক্ষেত্রে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ছড়া, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, জীবনী, ভ্রমণ, স্ক্রীপট্ ইত্যাদি। অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিতেও যেরকম যেরকম সাব ক্যাটাগরি হতে পারে সেরকম সেরকম সাব ক্যাটাগরি তৈরী করা হবে। তবে অনেক কিছুই নির্ভর করছে ইচ্ছুক প্রেরকরা কিরকম কনটেন্ট্ পাঠাচ্ছেন তার উপর। প্রেরকদের সহযোগীতার উপর নির্ভর করেই আমরা যাবতীয় ব্যবস্থা নেবো। আবারও একবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে লেখাপত্র/কনটেন্ট্ বা চিঠি পাঠালে দয়া করে অভ্র ফন্ট্ ও কি-বোর্ডে কমপোজ করে পাঠাবেন যাতে দ্রুত পোস্ট্ করা যায়। কেননা লেখার পরিমাণ বাড়লে আমাদের কাজের প্রক্রীয়া স্লথ হয়ে যাবে। অভ্র ফন্ট্ এবং কি-বোর্ড ব্যবহার জানা থাকলে লেখক/ব্লগার-রা নিজেরাই নিজেদের লেখা শুদ্ধ বানানে কমপোজ করে নিতে পারবেন। আর তাছাড়া ব্লগ লিখতে গেলে বা কমেন্ট্ পোস্ট করতে চাইলে তো ফন্ট ও কি-বোর্ড ব্যবহার জানতেই হবে। সুতরাং আমাদের আন্তরিক অনুরোধ আপনারা এই ব্যাপারটিতে বিশেষ নজর দেবেন।

বাংলা বানান

বাংলা বানানের ক্ষেত্রে আমরা কেনো সুনির্দিষ্ট বানান পদ্ধতি অনুসরণ করছি না। লেখক/ব্লগার-রা যে বানান পদ্ধতি অনুসরণ করেন তিনি সেই বানান পদ্ধতিতেই লিখবেন। ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ নেই। সাধু, চলিত বা অন্য কোনো রূপ এমন কি প্রান্তবর্তী নিম্নবর্গীয় মানুষদের লোকাল ডায়ালেক্ট্-ও চলতে পারে যদি তার প্রয়োগ যথাযত হয়। বিদেশী শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনোরকম কড়াকড়ি নেই। এছাড়া বাংলাভাষার প্রয়োগে পরীক্ষা নিরীক্ষা স্বাগত: আমাদের কাছে। ২১ শতকে বাংলাব্লগের ভাষা-চরিত্র নির্ধারণ ও নির্মাণে এই ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে বলে আমাদের স্থির বিশ্বাস। আমাদের আর একটি অনুরোধ যে বিদেশী ভাষার বাক্য ব্যবহার যতটা সম্ভব বাংলা অক্ষরে হলে ভালো হয়, তবে বিদেশী ভাষা-বাক্য থাকলে তার অক্ষর বিন্যাস সেই ভাষাতেই যেন হয়।

বেশী দীর্ঘ লেখা নয়

লেখা বেশী দীর্ঘ করবেন না। কারণ দীর্ঘ লেখা পাঠক বা ব্লগার-রা পরে পাঠ করবেন বলে এড়িয়ে যান, কিন্তু কার্যত: তা হয না সময় সাপেক্ষ বলে পড়ে থাকে। একজন ব্লগার-কে প্রতিদিন এতবেশী কনটেন্ট্ পাঠ করতে হয় যে তঁার পক্ষে ধৈর্য ধরে রাখা সম্ভব হয় না। বেশী বড় লেখা হলে (যেমন-গল্প/উপন্যাস) ক্যাটাগরির বদলে বিভাগে স্থানান্তরিত হবে।

আমাদের দায়িত্ব

আমাদের দায়িত্ব সারা বছর ধরে ব্লগের রক্ষণাবেক্ষণ করা বা মেইনটেনান্স্ চালানো। যদি কোনো সমস্যার উদ্ধভ হয় তবে আগে থেকে আগাম নোটিস দেওয়া হবে। সমস্ত সোশ্যাল নেট ওয়ার্কিং সাইটগুলি, বিশেষত: ফেসবুক, জি-মেল, ট্যুইটার ইত্যাদির সঙ্গে বাংলাব্লগের সংযোগ খাকবে যাতে কোনো পোস্ট বাংলাব্লগে করা হলে তা সঙ্গে সঙ্গে ঐ সোশ্যাল নেট ওয়ার্কিং সাইটগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু অধিকাংশ সোশ্যাল নেট ওয়ার্কিং সাইটগুলিতে বিদেশী ভাষার প্রাধান্য, বাংলার ব্যবস্থা নেই, তাই এই ব্যবস্থা নিয়ে এখনই আমরা কোনো সিদ্ধান্তে যেতে পারছি না, বিষয়টি নিয়ে আমাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে দেখতে হবে যে আদৌ ব্যাপারটা সম্ভব কিনা। তবে ওয়ার্ডপ্রেস্ ব্লগ হলে এটা সম্ভবপর।

ব্লগ-সম্পাদনা

ব্লগ-সম্পাদনার এখানে বিশেষ প্রয়োজনীয়তা নেই কারণ ব্লগ হলো ডায়নামিক পেজের সমাহার। কোনো আড্ডাস্থলে কিংবা চায়ের টেবিলে আমরা যখন কথাবার্তা চালাই, কোনো গুরুতর বিষয় নিয়ে বিতর্ক চালাই সেখানে তো কোনো সম্পাদনা থাকে না। বহু মতামতের ভিড়ে এবং কথাকাটির মধ্য দিয়ে আমরা একটা সাময়িক সিদ্ধান্তে পৌঁছাই যেটা ঠিক বিতর্ক সভার নিয়ম মেনে চলে না – এর একটা নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে; অনেকটা সেই রকমই বৈশিষ্ট্য দেখা যায় ব্লগের ক্ষেত্রে। কোনো একটা পোস্ট করা তথ্য নিয়ে টুকরো টুকরো মন্তব্য বা মতামত চলে, সেটা কখনও লম্বা হয়, কখনও ক্ষুদ্র হয়, আলোচনা চলে এবং একসময় শেষ হয় কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাবার আগেই। সুতরাং এ ক্ষেত্রে কোনো সম্পাদনার সুযোগ নেই।
আমরা বাংলাব্লগের পক্ষ থেকে শুধু সেইটুকু নজর রাখবো যাতে কোনো তথ্য (কনটেন্ট‌), মন্তব্য বা মতামতের কারণে কোনও অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরী না হয়। আর এটা আমরা বিশ্বাস এবং ভরসা করি যে যাঁরা এখানে কোনও কিছু পোস্ট করবেন তাঁরা পোস্ট করার আগে নিজেরাই নিজেদের কনটেন্ট্ সম্পাদনা করে নেবেন। তবে গল্প, উপন্যাস বা প্রবন্ধের ক্ষেত্রে (স্ট্যাটিক পেজ কনটেন্ট্) ন্যূনতম সম্পাদনা থাকবে যদিও আগের কথা মত আমরা বিশ্বাস ও ভরসা রাখবো লেখক-দর্শক-পাঠক-ব্লগারদের উপর।

কি কি করবেন না…

কয়েকটি অপ্রিয় সত্যি কথা…

লেখা, ছবি, কার্টুন, ফটো, ভিডিও-এসব বিষয় নিয়ে সে ভাবে কোনো বিধি নিষেধ নেই তবে ডব্লুথ্রী-এর নিয়মাবলী অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। যে কোনো বহুমাত্রিক, বহুভাষাভাষি সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্খনৈতিক-সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় কাঠামো, পরিসর ও পরিবেশের মধ্যে থাকা মানুষজন, প্রতিষ্ঠান, প্রাণী ও বস্তুজগতের প্রতি কোনো ক্ষতিকর, আক্রমনাত্মক কুরুচিকর মন্তব্য, আপত্তিজনক অশ্লীল ছবি, ফটোগ্রাফি, কার্টুন, ভিডিও, সাউন্ড বা ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক আঘাত এখানে কাম্য নয়। এ ধরনের কোনো লেখাও প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। বাংলাভাষা যাঁদের মাতৃভাষা বা জাতীয় ভাষা এবং অন্য ভাষাভাষি তাঁদের প্রতি কোনো অন্যায়, বিরূপ মন্তব্য করা যাবে না এবং বাংলাব্লগের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করা হবে। যেহেতু ব্লগসাইট হলো একটি সাম্প্রতিক অন্তর্জাল বা ইনটারনেট্ পরিসেবা যা সারা পৃথিবী জুড়ে চলমান একটি ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও তার ব্যবস্থা, সেহেতু ভিন্ন ভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন আইন অনুযায়ী কোনো বিরোধ/বিবাদের বিচার/মীমাংসা সেই দেশের রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যেই সাধারণত: সম্পন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু ইনটারনেটে বসে একদেশে করা তথ্যপ্রযুক্তিগত অপরাধ অন্যদেশের আইন কানুন অনুযায়ী ছাড়পত্র পায় না। সেই বিষয়ে অন্তর্জাল ব্যবহারকারীদেরকে সজাগ ও সতর্ক থাকা উচিত। সাধারণভাবে উপরের এই ন্যূনতম প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধগুলি বাংলাব্লগ, ব্লগ-সম্পাদক/লেখক ও বাংলাব্লগ টিম্ সম্পূর্ণ নি:শর্তভাবে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সমর্থন করে। তবুও আমরা আশা করবো ও আস্থা রাখবো সংবেদনশীল অন্তর্জাল ব্যবহারকারীর বিবেচনা বোধের উপর। এ ব্যাপারে ভবিষ্যতে ব্লগ ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য তথ্য সম্বলিত একটি সম্পূর্ন নিয়মাবলী এই ব্লগসাইটের একটি বিভাগে স্ট্যাটিক পেজ হিসাবে রাখা খাকবে। পাঠক/দর্শক/ব্লগারদের প্রতি বাংলাব্লগের পক্ষ থেকে আমাদের আন্তরিক অনুরোধ আপনারা যত্ন সহকারে লেখাটি পড়ে নেবেন এবং নিয়মগুলি অনুসরণ করবেন।

*এই শেষ অংশটুকু যে সমস্ত পাঠক/ব্লগার-রা এ বিষয়ে বিশদভাবে অবগত নন, পোস্ট-এর এই অংশটুকু রাথা হয়েছে সম্পূর্ণভাবে সেই সমস্ত পাঠক/ব্লগারদের জানার জন্য। যে সমস্ত পাঠক/ব্লগাররা এটা জানেন তাঁদের পড়বার কোনও দরকার নেই। ধন্যবাদ,

--বাংলাব্লগ টিম

যোগাযোগ:

baanglablog@gmail.com

 

*এই পোস্ট করা পুরো লেখাটি সম্পূর্ণভাবে বাংলাব্লগের পক্ষ থেকে দর্শক, পাঠক এবং ব্লগারদের জন্যে উপস্থাপিত হলো। যাঁরা এ বিষয়ে আরও বিশদভাবে জানতে চান তাঁদের প্রতি আমাদের সনির্বন্ধ অনুরোধ আপনারা আমাদের সঙ্গে ই-মেলে যোগাযোগ করুন।


বিষয় : বাংলাব্লগ-৪

প্রিয় পাঠক/ব্লগার
 
 

এ বিষয়ে আরও কিছু সংযোজন-১

আধুনিকতার শেষ পর্যায়ে সভ্যতায় বিজ্ঞান প্রযুক্তির অসাধারণ উল্লম্ফন সামাজিক ভিত গুলোকে নড়িয়ে দেয়। দু’দুটো বিশ্বযুদ্ধ মুল্যবোধকে দুমড়ে মুচড়ে একাকার করে দেয়। আসে দর্শন ইতিহাস চর্চার নতুন দিক, মানুষ চাক বা না চাক সমাজ জীবনে বিপুল পরিবর্তন ঘটতে থাকে। উৎপাদন ব্যবস্থায় আসে অভিনব পদ্ধতি। আর উৎপাদন থাকলে তার বন্টন ব্যবস্থা থেকে বিক্রিবাটা, লাভক্ষতি, আয় ব্যায়ের হিসাব, জ্ঞান ও তথ্য’র আদান প্রদান, সংরক্ষণ, পার্থিব ও মানব সম্পদের সম্যক ব্যবহার ও তার অধিকার এবং তজ্জনিত যে বিরাট রাজনৈতিক পরিবর্তন তার জন্যই দরকার হয়ে পড়ে নতুন জ্ঞানচর্চা, নতুন প্রযুক্তি; উত্তর আধুনিকতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ অবদান হলো কমপিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি। কিন্তু যে কারণের জন্য তার আবির্ভাব সেই তথ্যপ্রযুক্তিও আবার এমন এক অভিঘাত সৃষ্টি করলো সমাজ জীবনে যে উন্নত বিশ্বে তো বটেই তৃতীয় বিশ্বেও তার প্রভাবে একটা বিরাট আলোড়ন তৈরী হলো, যে বিশ্বের সামাজিক প্রগতি উন্নত বিশ্বের নিরিখে আদৌ তৈরী ছিলো না; খোলনলচে বদলে গেল জীবন যাপনের রীতি, নীতি, তৈরী হলো নিও কনজিউমার লাইফ স্টাইল। বিশেষ করে যার উৎপত্তি উন্নতবিশ্বে, সাধারণভাবে তার ফলাফল আমরা তৃতীয় বিশ্বের নাগরিকরা পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতন উপভোগ করি। অবশ্য একটা বড়সড় নতুন বাজারের সন্ধান- উন্নতবিশ্বের চাওয়াটা বরাবর সেটাই। তথ্যপ্রযুক্তির গবেষণায় আবির্ভূত হলো অন্তর্জাল বা ইনটারনেট যা আদতে একটি তথ্য চলাচলের দ্রুতগামী মাধ্যম এবং এর মধ্যেই লুকিয়ে ছিলো ইনট্যারাকটিভ্ নামক একটি সংলাপ চালানোর পন্থা যা বাস্তবিক কমপিউটার যন্ত্রটির একেবারে নিজস্ব চরিত্র। সুতরাং কমপিউটারে সবই যখন গাণিতিক হিসেব নিকেশের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়, তখন তথ্যপ্রযুক্তিই বা কেন বাদ যাবে! তার উপর ভর করে দাঁড়িয়ে এল ইনট্রানেট, ইনটারনেট, ই-মেল, চ্যাট, সংযুক্ত মোবাইল ফোন প্রযুক্তি এবং শেষ পর্যায়ে ব্লগ এবং আরও আরও! সম্পূর্ণ একটা ভারচুয়াল জগৎ! ইতিমধ্যে ছবি বা শব্দের মতন অন্যন্য মাধ্যম গুলোও এর মধ্যে সমন্বিত হয়ে গেছে মাল্টিমিডিয়া নামক নতুন এক মাধ্যমের বিকাশের মধ্য দিয়ে, ফলে একটা সম্ভাবনা উঁকিঝুঁকি মারতে শুরু করে।

এখন কথা হলো কিসের ভিত্তিতে এই সম্ভাবনা? মানুষের মৌলিক স্বভাব হলো কোনো কিছু জানা এবং জানার পর প্রশ্ন তোলা, প্রশ্নের পর উত্তর খোঁজা, যৌক্তিক বা অযৌক্তিক মনে হলে মত ও পথ নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ অথবা সবসময়ই যেটা তার ভীষণ পছন্দ তা হলো মন্তব্য পেশ করা। একেই হাতিয়ার করে শুরু হলো নতুন এক ধরণের ওয়েবসাইট যা একাধারে ডেটাবেস চালিত ডায়নামিক এবং স্ট্যাটিক পেজ-এর সমাহার। অনেক মানুষ যাতে একসঙ্গে সংলাপ চালাতে পারে, তথ্য বিনিময় করতে পারে, মন্তব্য পেশ করতে পারে তার জন্য তৈরী হলো তথ্যপ্রযুক্তির চমকপ্রদ গবেষণার দ্বারা নির্মিত এক ধরণের ভারচুয়াল প্লাটফর্ম, যে প্লাটফর্মের যে কেউ সদস্য হতে পারে, তার নিজের জন্য খানিকটা পরিসর বা স্পেস রাখতে পারে, সেই স্পেসে নিজের সম্পর্কে কিছু তথ্য জমা রাখতে পারে, নিজস্ব বন্ধু-বৃত্ত তৈরী করতে পারে, যা তথ্য জমা থাকবে তা যে কেউ ইচ্ছা করলে পড়তে, দেখতে, শুনতে পারে, চ্যাট করতে পারে, প্রয়োজন হলে কিছু লিখতেও পারে সেখানে। কিন্তু সবথেকে মজার বিষয় হলো যেটা সেটা হলো একটা ঘর বা প্রথম পাতা যেখানে সব্বাইকার পেশ করা তথ্য-দৃশ্য-মতামত-মন্তব্য-সংলাপ-দেখা যায়-পড়া যায়, এ যেন এক আদর্শ সম্মিলিত চলমান-সংলাপ-স্থল! অনেকটা একটা কাল্পনিক দৃশ্য’র কথা এভাবে ভাবলে যেমন মনে হয়- একটা দেয়াল যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পোস্টারগুলো একের পর এক দেয়ালে সাঁটিয়ে দিয়ে আসছে! আবার তার সদস্যরা একে অন্যের পোস্টার পড়ছে, ছিঁড়ছে, তর্ক করছে, মন্তব্য করছে, টিপ্পনী কাটছে, গালিগালাজ করছে অথবা খুব ঘনিষ্ঠভাবে বন্ধুত্বতা পূর্ণ একটা আলোচনা চালাচ্ছে। ফলতঃ একটা ভিন্ন স্বর, একটা লুকিয়ে থাকা সত্যকে যাচাই করবার পরিস্থিতি তৈরী হয়। এমন কি দুটো পরস্পর ভিন্ন মতামত নিজেদের মধ্যে তুমুল লড়াই চালাতে চালাতে তৃতীয় একটা মতে পৌঁছে যায় এবং সম্পূর্ণ একটা ভারচুয়াল জগৎ হয়েও অধিকতর গণতান্ত্রিক পরিসর ও পরিবেশ তৈরী হয়। ঐ দেয়ালটাই হলো আজকের দিনের সোস্যাল নেট ওয়ার্কিং সাইট।
——————————————————————————

(পরের অংশটুকু পরবর্তী পোস্ট-এ প্রকাশিত হবে।)

No comments :

Post a Comment