Saturday, June 17, 2017

বিষয় : শিল্পকলা

Posted on

প্রিয় পাঠক/ব্লগার,
 

স্বাগতম্ !

SSAVD invitation card
আমন্ত্রণ পত্র


বেঙ্গল কনটেম্পোরারি আয়োজিত

স্বাদ-এ শিল্পকলা প্রদর্শনী


শান্তিনিকেতন সোসাইটি অফ্ ভিশুয়াল আর্ট এ্যান্ড্ ডিজাইন (এস্.এস্.ভি.এ.ডি বা স্বাদ)
আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে স্বাদ-এর প্রদর্শনী কক্ষে ছয়জন শিল্পীর শিল্পকর্ম নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করতে চলেছে বেঙ্গল কনটেম্পোরারি নামে বাংলার এক শিল্পীদল। বাঙালীর গৌরব কবিগুরুর স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতীর অদূরে সোনাঝুরি পল্লীতে স্বাদ-এর অবস্থান। বিখ্যাত শিল্পী ও শিল্প-ব্যক্তিত্ব শ্রী যোগেন চৌধুরীর সুযোগ্য নেতৃত্বে শিল্পের সমকালীন ধারা, দেশ বিদেশ থেকে আগত সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব, উঠতি নবীন ও প্রতিষ্ঠিত প্রবীণ শিল্পী এবং গবেষকদের দ্বারা সমকালীন শিল্পচর্চা ও গবেষণাকে  তুলে ধরার জন্য বিশ্বভারতীর সৃজনশীল ব্যক্তিরা এবং শিল্পকলা বিভাগের অধ্যাপক-সদস্যরা এই স্বাদ বা শান্তিনিকেতন সোসাইটি অফ্ ভিশুয়াল আর্ট এ্যান্ড্ ডিজাইন (এস্.এস্.ভি.এ.ডি) নামে এই সাংস্কৃতিক হাব গড়ে তুলেছেন।

বেঙ্গল কনটেম্পোরারির সদস্য-শিল্পী ও আমণ্ত্রিত অতিথি-শিল্পীরা এখানে একটা সুযোগ পেয়েছেন দলগত ভাবে তাঁদের কাজ দেখাবার জন্য। ৮০’র দশকে শুরু, সেই থেকে দীর্ঘ তিন দশক ধরে নিবিষ্ট ভাবে বিভিন্ন মাধ্যম নিয়ে শিল্পচর্চায় নিমগ্ন মধ্যবয়স্ক এই ছ’জন চিত্রকর। এঁরা হলেন প্রবাল চন্দ্র বড়াল, নবকুমার চক্রবর্তী ( দু’জন দলের সদস্য), অলোক সর্দার, চয়ন রায়, নীলোৎপল সিংহ এবং মলয় চন্দন সাহা (চারজন আমণ্ত্রিত)। এই চিত্রকররা বাণিজ্যিক চিত্রশালার বিভিন্ন দলগত প্রদর্শনী, বাৎসরিক প্রদর্শনী (একাডেমী অফ ফাইন আর্টস ও বিড়লা একাড়েমী অফ আর্ট এ্যান্ড কালচার), জাতীয় প্রদর্শনী (ললিতকলা একাডেমী) এবং স্ব-উদ্যোগে আয়োজিত দলগতপ্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। এর পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন জায়গায় প্রাইভেট অন্তেপ্রেনিওরশীপ দ্বারা অনুষ্ঠিত নানা শিল্প-শিবির বা কর্মশালাতেও যোগদান করেছেন।

Probal, Aloke, Chayan, Nilotpal, Malay and Naba
বাঁ দিক থেকে : প্রবাল, অলোক, চয়ন, নীলোৎপল, মলয় ও নবকুমার
এই ছ’জন সমকালীন চিত্রকরের কাজে একটা পরিস্কার পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়। ফর্মাল চিত্রভাষার এক রীতি গড়তে গিয়ে তাঁরা প্রখর কল্পনাশক্তি কিম্বা বর্ণনামূলক স্টাইলের সাহায্য নেন যা একেবারে প্রত্যক্ষজ বা পারসেপশানের জায়গায় একে অন্যের থেকে আলাদা হয়ে যায়। বরং নানারকম ঝোঁক – আধুনিকতাবাদী চিন্তার সান্নিধ্য থেকে উত্তর আধুনিক মনোভাব – সবই লক্ষ্য করা যায়। এই সমস্ত প্রক্রীয়াটা খুব অবলীলাক্রমে খেলাচ্ছলে কালি, কালি ও ওয়াশ (কাগজের উপর), কাগজ/ক্যানভাসের উপর এ্যাক্রিলিকে অথবা উচ্চতর প্রযুক্তিগত সুবিধা (রিসোর্স) কাজে লাগিয়ে নির্মাণ-টা হতে থাকে। বেঙ্গল কনটেম্পোরারির সদস্যরা এবং অতিথি-শিল্পীরা এক নতুন চিত্রভাষার সন্ধানে তাঁদের প্রচেষ্টা সম্পর্কে খুবই সজাগ থাকেন।

এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর, সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭-০০ পর্যন্ত। প্রথমদিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে শুরু। আপনাদের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ, আপনারা যদি ঐ সময় শান্তিনিকেতনে অবস্থান করেন তাহলে এই প্রদর্শনীতে ১৫ কিম্বা ১৫ ডিসেম্বরের পরে কোনও একদিন উপস্থিত হোন। বেঙ্গল কনটেম্পোরারি আপনাদের উপস্থিতিতে প্রদর্শনী উদ্বোধনের জন্য অপেক্ষায় থাকবে ঐ দিন।

–-বাংলা ব্লগারু দ্বারা লিখিত রিপোর্ট
 
This entry was posted in সংবাদ and tagged , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , . Bookmark the permalink.

No comments :

Post a Comment